রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, নির্বাচনের পর ম্যাথিউ মিলার তার বক্তব্যে দুই ধরনের কথা বলেছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করব না।
দুইজনের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীন ভূমিকা নিতে পারে। ১১-১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে।
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অচলাবস্থা আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাত, যার রেশ আমাদের সীমান্তে এসে গেছে। গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। জনমনে আতঙ্ক তো ছড়ায়। যুদ্ধটা তাদের অভ্যন্তরীণ। কিন্তু সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ আমাদের এখানে যখন চলে আসে, স্বাভাবিক কারণে ভয়ভীতিও আসতে পারে। এ জন্য চীনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে চীন সাপোর্ট করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পালাক্রমে অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিনিধিরা দেখা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এখানে ভারত ও চীনের একটা শক্তি বলয় আছে। ভারত ও চীনের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। এটা তাঁদের বিষয়। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে আছি, আমরা যেন তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত না হই। মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির সংঘাতে আমাদের কিছু কিছু ক্ষতি তো হচ্ছে। আকাশসীমা লঙ্ঘন হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের চমৎকার সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে তারা কিছু করতে পারে কি না বলেছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চীনের অর্থায়নে চলমান মেগাপ্রজেক্টগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিআরটি প্রকল্প নিয়েও কথা হয়েছে।