নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। ইসির এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল আল মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে সংবিধানের কোনো লঙ্ঘন হয়নি। সংবিধান মেনেই ইসি এ নির্দেশনা দিয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোট দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা যাবে না। এমন নির্দেশনা দিয়ে ১২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠিতে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সই করেন।
চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য প্রকার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।