মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইফ সাঈদ আল শুহাদা এবং এর মহাসচিব হাশিম ফিনিয়ান রহিম আল-সারাজির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। তাদের সারা বিশ্বে বিশেষ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ায় আইএসআইএসকে পরাজিত করার জন্য লড়াই করা মার্কিন ও গ্লোবাল কোয়ালিশন উভয়ের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে কেএসএস।
ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠী কাতাইব হিজবাল্লাহর ছয় শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড এবং কুডস ফোর্স নামে পরিচিত বাহিনী কেএসএস, কেএইচ এবং অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। তারা এসব সংগঠনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে।
কেএসএস, কেএইচ এবং হারাকাত-আল-নুজাবা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নানা ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে ওআইসির বিশেষ জরুরি এ বৈঠকে যোগদান শেষে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলকে টিকিয়ে রাখার জন্য মার্কিন সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দখলদার ইসরায়েলকে যেসব দেশ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা তার মধ্যে প্রধান।
রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসির এ বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যে বর্বর আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার পেছনে মূল অপরাধী হচ্ছে আমেরিকা।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি দৃঢ় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ‘সৌদি সফরে আমি ইরানি জাতি এবং যারা রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে তাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
প্রেসিডেন্ট রায়িসি আরও বলেন, ‘ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কে ইরানের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একইসাথে ইসরায়েল সরকারকে ভুয়া এবং দখলদার বলে বিবেচনা করে তেহরান।’
গাজায় টানা ৩৬ দিনের অব্যাহত বোমাবর্ষণে নিহত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু রয়েছে।