সাত গোলের কথা হলে স্মৃতিতে ভাসে ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও জার্মানির ম্যাচ। সেলেসাওদের জালে সেবার ৭ বার বল ঢুকিয়েছিল জার্মানি। যা ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ‘সেভেন আপ’ নামে পরিচিত। এবার সেই ঘটনা আবারও ফিরল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাঠে। যেখানে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ৯০ মিনিটের ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগে আরও দুইবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের সেই দুই ম্যাচে পার্থে ০-৫ আর ঢাকায় ০-৪ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঠিক জয়ের প্রত্যাশা না করলেও ভালো খেলার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তবে তা হয়নি। উল্টো সকারুজদের বিপক্ষে সাত সাতটি গোল হজম করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।
প্রথমার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশকে চেপে ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। সকারু ফুটবলারদের সঙ্গে কোনোরকম লড়াই করতে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরার দল। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই ডিফেন্ডার হ্যারি সোটারের গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে গোলমুখে ক্রস করেন কনোর।
৩৭ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে সকারুরা। কনোর মেটকালফির তুলে দেওয়া বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে হেডে বল জালে পাঠান মিচেল ডিউক। ৪০ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে বারেল্লোর শট সাইড পোস্টে প্রতিহত হয়, ফিরতি বলে অনায়াসে জালে পাঠান ডিউক। ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ হজম করে আরো তিন গোল। ৪৮ মিনিটে দলের পঞ্চম গোল করেন জেমি ম্যাক্লারেন। এরপর ৭০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ছয় নাম্বার গোল করেন ম্যাক্লারেন। ৮৪ মিনিট আবারও গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ম্যাক্লারেন।
এর ৫ মিনিট পর ডি বক্সের মাঝে ফাউল করে শাকিল। পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ৭-০ গোলের বড় হার দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্ব শুরু করল হাভিয়ের কাবরেরার দল।
এর আগে ২০১৫ সালে পার্থে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হেরেছিল। আগামী ২১ নভেম্বরে ঢাকায় লেবাননের বিপক্ষে বাছাইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।