আবারও শুরুতে ব্যাটিং ধস। মঙ্গলবার পাকিস্তান ম্যাচে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। তবে ওপেনে লিটন দাস এবং মাঝপথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান করেন বলার মতো স্কোর। কিন্তু শেষটায় ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। তাতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলার সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের। ৪৫ ওভারে অলআউট হয়েছে ২০৪ রানে।
আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারে উইকেট হারায়। দল রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির পঞ্চম বলে এলবি হন এই ওপেনার। রক্ষা পাননি রিভিউ নিয়েও। নিজের পরের ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শাহিন শাহ। মাত্র ৪ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে উসামা মিরের ক্যাচ বানান পাকিস্তানি এই পেসার।
দলের বিপর্যয় আরও বাড়ে মুশফিকুর রহিমের আউটে। হারিস রউফের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটার। ৮ বল খেলে ১ চারে ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। এরপর লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশে। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে শতরানের কোটা অতিক্রম করে টিম টাইগার্স।
দলীয় ১০২ এবং ব্যক্তিগত ৪৫ রানে পথ হারান লিটন। টাইগার ওপেনারকে হাফসেঞ্চুরির ঘরে যেতে দেননি ইফতিখার আহমেদ। খানিকবাদে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তবে ফেরার আগে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৭০ বলে তার ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছক্কার মার। শাহিন ম্যাচে শাহর তৃতীয় শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। একাদশে ফিরে ব্যর্থ হন তাওহিদ হৃদয়। উসামার বলে আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ১ ছক্কায় করেন ৭ রান।
এদিন অবশ্য সাকিবকে বেশ ছন্দে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু মাঠে সেট হয়েও উইকেট বিলিয়ে দেন টাইগার অধিনায়ক। তাকে আউট করেন হারিস রউফ। ৬৪ বলে ৪ চারে ৪৩ রান করেন সাকিব। শেষদিকে কিছুটা মারমুখী ছিলেন মেদেহি হাসান মিরাজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলে ২৫ রান করা টাইগার অলরাউন্ডারকে শিকার বানান মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তাসকিন আহমেদ (৬) এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩) বোল্ড করে তিনিই বাংলাদেশের ইনিংস থামিয়ে দেন।