‘নির্বাচনের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া বা সমঝোতা করার সুযোগ আছে কি না, জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। সংবিধান লঙ্ঘন করে কোনো ছাড় বা সমঝোতার সুযোগ নেই বলে তাদের জানানো হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে আড়াইটা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে, নির্বাচন এর প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগ আছে কিনা? আমরা বলেছি, বিরোধীদের দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে- সংবিধান লঙ্ঘন করে এসব দাবি মানা সম্ভব নয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে ছাড়, সমঝোতা বা আপস সম্ভব নয়।
কাদের বলেন, তাদের কথাবার্তা পজিটিভ মনে হয়, বায়াস মনে হয়নি। আমরা দেখেছি, টেলিভিশন টকশোতে উপস্থাপক পক্ষ নিয়ে ফেলেন, কিন্তু এ প্রতিনিধিদল কারো পক্ষে মনে হয়নি। ভায়োলেন্সের আশঙ্কা আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল যা বলেছে, আমরা জবাব তাদের জানিয়েছি। আইনের ভুল ব্যাখ্যা ও তথ্যের সঠিকতা নিয়েও জানিয়েছি। এমন গুজব তারা ছড়িয়েছে, তার জবাব তো আমাদের দিতেই হয়। তারা এখানে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। একটা অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি, এটা আমরাও করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের জন্য এসেছেন। অন্যান্যদের মতো আমাদের সঙ্গে বসেছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছি। গণতন্ত্রকে সুসংহত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনার সরকার করেছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার জানিয়েছি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।