যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে খুব সমালোচনা চলছে। কে কী বললো, এগুলা এখন বিবেচনার বিষয় না। বিদেশে আমাদের কোনো প্রভু নেই, আমাদের প্রভু বাংলার জনগণ। এ রাষ্ট্র আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন করেছি। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, তার যোগ্য কন্যা আছে। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
মঙ্গবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ ময়েজ উদ্দীনের ৩৯তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে উন্নয়ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে শান্তি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ঠেকানোর জন্য। কিন্ত তারা পারেনি, রাশিয়া তাদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি নিয়ে ভেটো দিয়েছিল। তারা বলেছে, বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে স্থায়ী বোঝা হবে।
১৯৭৪ সালের ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে চাল আর গম কিনেছিল। সে গম চাল চিটাগাং পোর্টে এসে পৌঁছায়নি। মধ্যপথে উধাও হয়ে গেছে। যার ফলে কৃত্রিম এক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তো কী হয়েছে, আমিও নিষেধাজ্ঞা দেবো, আমার জনগণ দেবে। আজ প্রধান বিচারপতি অবসরে গেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার দরকার নেই।
শহীফ ময়েজ উদ্দীনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যারা কাছের লোক ছিলেন তাদের মধ্যে ময়েজউদ্দিন অন্যতম। তিনি তৎকালীন মুজিব ফান্ড গঠন করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর দায়েরকৃত আগরতলা মামলার খরচ চালিয়েছেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
এসময় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শহীদ ময়েজ উদ্দীন স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ অনেকে।