কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কখনো ফাইনাল হারেনি । তবে ১৬তম এশিয়া কাপের ফাইনালে হয়তো সেই ধারাটাই ভাঙতে যাচ্ছে তারা। যেখানে ভারতের বোলিং তোপে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অল আউট হয়েছে লংকানরা।
মোহাম্মদ সিরাজের ভয়ংকর হয়ে ওঠার দিনে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলংকা। স্বাগতিকরা টিকে ছিল মোটে ১৫.২ ওভার। নিজেদের ইতিহাসে লংকানদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৪৩ রান।
ঘরের মাঠে দিনের শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। লংকানদের সুখস্মৃতি ছিল এতটুকুই। কারণ এরপর ভারতের বোলিং তোপে যে আর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেনি তারা।
মাঠের লড়াই শুরুর আগে বাধা হয়ে আসে বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময় থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হয়। এমন পিচে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ সিরাজ। তার বলের সামনে যেন কোনো উত্তরই খুঁজে পাচ্ছিলেন না লংকান ব্যাটাররা।
শুরুটা অবশ্য করেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই কুশল পেরেরাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের গল্পটা শুধুই সিরাজের। একে একে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই চার উইকেট শিকার করেন সিরাজ। তার বলে একে একে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দাসুন সানাকা ও কুশল মেন্ডিস।
প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করতে সিরাজ নেন মাত্র ১৬ বল। সপ্তম উইকেটে ২১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস ও দুনিথ ওয়েল্লালাগে। তবে ১৭ রান করা মেন্ডিসকে বোল্ড করে প্রতিরোধ ভাঙেন সিরাজই।
আক্রমণে এসে শ্রীলংকার অষ্টম উইকেটের পতন ঘটান হার্দিক পান্ডিয়া। ৪০ রানে আট উইকেট হারানো লংকানরা দলীয় অর্ধশতকের দেখা নিয়েই ছিল শঙ্কায়। তবে দুশান হেমন্থার দৃঢ়তায় তা পেরিয়ে যায় তারা।
তবে দলীয় সংগ্রহ ৫০-এর বেশি নিতে পারেনি শ্রীলংকা। ১৬তম ওভারের প্রথম দুই বলে ২ উইকেট শিকার করে লংকানদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন পান্ডিয়া। ঘরের মাঠে এটাই দলটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন মেন্ডিস। এছাড়া ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন হেমন্থা। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। দলটির পাঁচজন ব্যাটার পেয়েছেন ডাকের দেখা। সিরাজ ৬, পান্ডিয়া ৩ ও বুমরাহ একটি উইকেট শিকার করেন।