সরকারের পক্ষ থেকে ডিম, তেল, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে তা মনিটরিং করতে আজ বিকেল থেকে অভিযানে নামবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসভা শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার এবং একই সঙ্গে অল্প পরিমাণে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে ডিম আমদানি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৬৯ টাকা এবং ১৫৯ টাকা করা হবে। এক থেকে দুই দিনের মধ্যে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম হবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজ বিকেল থেকেই অভিযানে নামবে। তারা মাঠে থেকে এটি মনিটরিং করবেন।’
এর আগে, রাজধানীর খামারবাড়ীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, ‘আবশ্যিক কারণে বিভিন্নভাবে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর তেল ও ডালের দাম বেড়েছে। দেশে এগুলো যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন না হওয়ায় বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রায় ৯০ ভাগ খাবার তেল ও প্রায় ৯৯ ভাগ চিনি আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া ডালও আমদানি করতে হয়। বিশ্ব বাজারে এগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে দাম বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন করে টিসিবির কার্ড করা হচ্ছে। আমরা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিগুলো শিগগির মানুষ হাতে পেয়ে যাবে। কার্ডের কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মাসে এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল-ডাল ও তেল-চিনিসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতি মাসেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি। যারা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের হাতেই পণ্য দিতে হবে। সামনে যেহেতু ডিজিটাল কার্ড সরবরাহ করা হবে তাই এ বিষয় নিয়ে আর দুশ্চিন্তা থাকবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের কষ্ট অনুভব করে এক কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাগব হবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি, প্রতিনিয়ত তা করব।’