জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শনিবার (১৫ জুলাই) সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চোখের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় তিনি রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন ও ছবি তোলেন। এসময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট রাব্বির দিকে চোখ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি এগিয়ে যান, পরম মমতায় আদর করেন শিশুটিকে। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান- কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে।
১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-এর ৮/৩ নম্বর ঘরে থাকেন। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে রাব্বি। ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে রাব্বির কথা শুনেন। তিনি ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নেন। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।