গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার (৯ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে বরাদ্দ করা প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা এবং গণসংযোগ শুরু করেছেন।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের বেলায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে প্রতীক নিয়ে মিছিল সহকারে গণসংযোগ শুরু করেন তাঁরা।
আজ সকাল থেকেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সবার দৃষ্টি ছিল জেলা শহরে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে। সিটি করপোরেশনের আট মেয়র পদপ্রার্থী এবং ৫৭টি ওয়ার্ডের ২৩৯ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ১৯টি আসনের বিপরীতে ৭৭ প্রার্থী ও তাঁদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল ওই এলাকা। সকাল ১০টার দিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রার্থীদের বিশেষভাবে দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
প্রতীক বরাদ্দের শুরুতেই আট মেয়র পদপ্রার্থীর হাতে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরদের হাতে নির্ধারিত প্রতীক তুলে দেন।
মেয়র পদপ্রার্থীরা প্রতীক নিয়েই গণসংযোগ শুরু করেন এবং আগামী দিনে গাজীপুর মহানগরকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত করে আধুনিক নগর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
আট মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আজমত উল্লাহ খান (নৌকা), সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন (স্বতন্ত্র, ঘড়ি), জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজউদ্দিন (লাঙ্গল), শাহানুর ইসলাম রনি সরকার (স্বতন্ত্র, হাতি), ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওলানা আতাউর রহমান (হাতপাখা)।
এ ছাড়াও ৫৭ ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৫৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেন এবং মিছিল করে এলাকায় তাঁদের উপস্থিতির জানান দেন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।