বৈশাখের প্রথম দিন থেকে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশবাসী। প্রচণ্ড তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে এখন। তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছে। এরইমধ্যে সুখব দিলেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে দেশের তিনটি বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে বাকি পাঁচটি বিভাগে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের পরিস্থিতি একই রকম থাকার আভাস দেন তিনি।
পোস্টে পলাশ লিখেন, ‘শুভ সকাল বাংলাদেশের সবাইকে। ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষদের জন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার সুসংবাদ ও রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের বেশির ভাগ জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকার দুঃসংবাদ।’
তিনি লিখেন, ‘আপনাদের হয়তো মনে আছে ১৪ এপ্রিলের পূর্বাভাস দিয়েছিলাম যে, আগামী ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোনো কোনো জেলায় দুর্বল কালবৈশাখী ঝড়সহ খুবই হালকা পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকাল ৯টার সময় জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, আজ সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
‘বিশেষ করে নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ।’
দাবদাহের পরিস্থিতি নিয়ে পোস্টে বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের বেশির ভাগ জেলাগুলোর তাপপ্রবাহের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ঢাকার তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে গরমের প্রভাব বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘কারণ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, বঙ্গোপসাগর থেকে গরম ও জ্বলীয় বাষ্পযুক্ত বাতাস বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’