নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারার পরেও ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিল শ্রীলংকা। কিন্তু সেটি হয়নি। উল্টো ওয়ানডে সিরিজও হেরেছে দলটি। তবে টি-২০সিরিজে এসেছে জয় সফরকারীরা।
রোববার অকল্যান্ডে টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিউইরা। ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে সফরকারীরা।
জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ঠিকই ১৯৬ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে সেখানে নিউজিল্যান্ডকে হারায় শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের দেয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিউইরা। ৩ রানের ভেতরই হারায় দুই ওপেনার টিম সাইফার্ট ও শাদ বাউসের উইকেট। তবে টম ল্যাথামকে নিয়ে হাল ধরেন ড্যারিল মিচেল। তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রান তুলে খেলায় গতি ফিরিয়ে আনেন তারা।
ল্যাথাম অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ২৭ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে মার্ক চাপম্যানের সঙ্গে আবারও বড় জুটি গড়ে তোলেন মিচেল। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৬৬ রান।
১৫ তম ওভারে চাপম্যানকে (৩৩) হারিয়ে লঙ্কানদের ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসারাঙ্গা। পরের ওভারেই মিচেলকে সাজঘরে পাঠান শানাকা। লঙ্কান অধিনায়কের শিকার হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
মিচেল আউট হওয়ার পর লঙ্কানদের জয়ের কাজটা সহজই হবে বলে মনে হচ্ছিল। জয়ের জন্য তখনো ৫৩ রান দরকার ছিল কিউইদের। কিন্তু স্বাগতিকদের ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। এগিয়ে যেতে থাকেন টেল এন্ডারদের নিয়ে। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের।
প্রথম বলেই রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে দেন শানাকা। তার পর দুই বলে দুই রান করে নেন সোধি। শেষ বলে তার ছক্কাতেই খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
কিন্তু লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানার করা সেই ওভারে কেবল ৮ রানই নিতে পারে নিউজিল্যান্ড। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মিচেল। পরের বলটিতে ওয়াইড দেন থিকশানা। কিন্তু সেই বলের বৈধ ডেলিভারিতে নিশামকে সাজঘরে পাঠান তিনি।
তৃতীয় বলে তার থেকে রান নিতে পারেননি ক্রিজে আসা চাপম্যান। চতুর্থ বলে দুই রান নেওয়ার পর পঞ্চম বলে ৪ হাঁকান এই ব্যাটার। কিন্তু শেষ বলে তাকেও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়।
৯ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন অ্যাডাম মিলনে। তার প্রথম সিঙ্গেল নেন কুশল মেন্ডিস। তবে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আসালাঙ্কা। পরের বলটি নো করেন মিলনে। সেই বলে চার হাঁকিয়ে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করেন আসালাঙ্কা। এর আগে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলায় ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পান বাঁহাতি এই ব্যাটার।