মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন, মোখলেছুর রহমান মুকুল, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির, নাকিব হোসেন আদিল সরকারও সাইদুর রহমান রতন। তারা সবাই পলাতক।
এর আগে রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
গত ৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য যেকোনো দিন অপেক্ষমাণ (সিএভি) ঘোষণা করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।
ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন ২ জন। কারাগারে থাকা দুইজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। আর বাকি ছয়জন আসামির সবাই পলাতক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে ২০১৮ সালের ১২ জুলাই দাখিল করার পর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর ফরমাল চার্জ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। একই বছরের ৫ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি অপেক্ষমান রাখেন আদালত।
২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়ে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে রয়েছে।