অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে সাত দিনের মধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশনা জারি করতে সরকারের তিন সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পরিবেশসচিবকে এ নির্দেশ জারি করতে বলে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
দেশের সব জেলায় অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালকসহ ২১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা অবৈধ। আর ইটভাটায় জ্বালানি হিসেব কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শীত মৌসুমকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ ইটভাটা চালু করা হয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈধ-অবৈধ সব ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এতে যেমন পরিবেশদূষণ হচ্ছে তেমনি ভাটা মালিকদের মুনাফার শিকারে উজাড় হচ্ছে গাছপালা, বন। ফলে নষ্ট পরিবেশের ভারসাম্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমনটা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন। ’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ অক্টোবর রিট আবেদনটি করা হয়। পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও সঞ্জয় মণ্ডল।