‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের কোনো দোষ নেই। তিনি কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত নন। তাকে যা কিছু দিয়েছি, ভালোবেসে দিয়েছি। ’
জ্যাকলিন সম্পর্কে এই কথাগুলো লিখে নিজের আইনজীবির মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর।
দীর্ঘ সেই চিঠিতে আরো অনেক কিছুই ফাঁস করেছেন সুকেশ, যা প্রকাশ্যে এসেছে রবিবার (২৩ অক্টোবর)।
সুকেশের দাবি, বহুমূল্যের গাড়ি থেকে শুরু করে উপহার যা কিছু আর্থিক লেনদেন সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দেওয়া। তাঁরা দুজনে সম্পর্কে ছিলেন। সেখানে উপহার দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কনম্যানের আরো দাবি, ২০০ কোটি টাকা তাঁকে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রাক্তন র্যানব্যাক্সি মালিককে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য এই অর্থ দেওয়া হয় তাকে।
জ্যাকলিন সম্পর্কে সুকেশ জানিয়েছেন, ‘জ্যাকলিনের এতে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। যা কিছু দিয়েছি, ওকে আর ওর পরিবারকে আমি উপহার দিয়েছি। এটা কি তাঁদের দোষ হতে পারে? জ্যাকলিন আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই কখনো চায়নি। বলেছিল, পাশে থাকতে। প্রতিটি টাকা-পয়সা যা আমি ওদেরকে উপহার দিতে খরচ করেছি, তা বৈধ আয় থেকেই। এই প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি। ’
চিঠিতে সুকেশ আরো জানিয়েছেন, তাঁর একটি কয়লা খনির ব্যবসা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। একাধিক হোটেলের স্বত্ব এবং খবরের চ্যানেলও ছিল যেগুলো তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। সুকেশের দাবি তাঁকে অস্ত্র এবং সুরক্ষার চুক্তিতে ফাঁসানো হয়েছিল।
এদিকে শনিবার দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে জ্যাকলিনের নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিতে চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডির সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় পারেননি।
আদালতের নির্দেশে জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে সেদিনই।