পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এ অধিবেশনে যোগদানের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল নিউ ইয়র্কে পৌঁছবে।
নিউ ইয়র্ক ভ্রমণের আগে প্রধানমন্ত্রী ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করবেন। নিউ ইয়র্কের সফর শেষে তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে। ’ এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, এখন মিয়ানমারে কিছুটা সংঘাত হচ্ছে। আরাকান বাহিনী ও মিয়ানমারের আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। সেটা নিয়ে তারা ঝামেলায় আছে। মিয়ানমার সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে, যেন কোনো রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ব করোনা মহামারিসহ একটি বহুমাত্রিক সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে। বহুমাত্রিক বিশ্বসংকট মোকাবেলায় কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা একান্ত প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হিসেবে ‘ওয়াটার সেট মুভমেন্ট ট্রান্সফরমেটিভ সলিউশন টু ইন্টারলগিং চ্যালেঞ্জেসের ওপরই দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ’
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও বিশ্বে চলমান বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট তৈরি হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। নতুন এই সংকটের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এসব কারণে জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনে করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বহুপাক্ষিকতাবাদ, টেকসই আবাসন, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অবকাঠামো গঠনের বিষয়সমূহ আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবে।