শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি, বেসরকারি বা সংস্থা পরিচালিত যে ধরণের হোক না কেন তা নিয়মের মধ্যে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মধ্যে পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এতে যেন নিয়মের কোনো ব্যত্যয় না থাকে এটাই আমার অনুরোধ।
আজ শনিবার রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে ২০১২ সাল থেকেই সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হচ্ছে।
তবে আনন্দময় শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষের তুলনায় অধিক শিক্ষার্থীসহ অনেক সীমাবদ্ধতা কাজ করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষার্থীদের পাঠপরিকল্পনায় ব্যপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মুখস্ত করা ও পরীক্ষার চাপে থাকবে না তাদের শিখন পদ্ধতি হবে আনন্দময়, সক্রিয় শেখা ও অভিজ্ঞতাময়। এ সময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত অপর এক অনুষ্ঠানে দীপু মনি জানান, ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব চলছে। সরকারবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে এ প্রচারণা করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার পরিধি আরো বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ধর্ম, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অবিচ্ছেদ অংশ।
এ সময় পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদারকে পতাকা উপহার দেন। দীপু মনি বলেন, তিনিই দেশের প্রথম নারী যিনি পর্বতশৃঙ্গ আরোহন করেছেন। তাকে দেখতে সাধারণ নারীর মতোই, অথচ দুঃসাহসী মানুষ। নারীরা সব দিকে থেকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশবাসিকে আর নিশাতরা দেখাচ্ছে নারীদের।