সারা দেশে আবার ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। দেশের ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে এই পণ্য দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে টিসিবির পণ্যর বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘শোকাবহ আগস্টে চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজ নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি শুরু করা হলো। এসব পণ্য এক কোটি কার্ডহোল্ডারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য বিক্রিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখন আর ট্রাক সেলে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে না। নিয়োগকৃত ডিলারদের নির্ধারিত দোকান বা স্থাপনা থেকে দেশব্যাপী এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ’ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ এসব পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবে। এতে সুবিধাভোগীরা খুশি। টিসিবির পণ্য বিক্রিতে কোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে (ভর্তুকি মূল্যে) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রতি কার্ডধারী এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল এবং দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে দেশব্যাপী নির্ধারিত দোকান বা স্থাপনা থেকে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে এসব পণ্য বিক্রি অব্যাহত থাকবে। তবে পেঁয়াজ শুধু মহানগরী ও জেলায় টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয় বিক্রি করা হবে।
এদিকে রাজশাহী থেকে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজশাহীতে পচা পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। কেউ পেঁয়াজ না কিনলে তাঁদের টিসিবির অন্য কোনো পণ্য দেওয়া হচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, এই পেঁয়াজ খাওয়ার উপযোগী নয়। টাকা দিয়ে কিনেও এই পেঁয়াজ তাঁদের ফেলে দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে প্রায় দুই লাখ পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর ১০টি ওয়ার্ডে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের ৩০টি ওয়ার্ড এবং জেলার প্রত্যেক উপজেলা পর্যায়েও ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে।