গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ষষ্ঠ দিনে এসে এক দিনে জাজিরা ও মাওয়া দুই প্রান্ত মিলে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ টাকা। এদিন সেতুর দুই প্রান্ত দিয়ে ২৬ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর আগে ২৬ জুন সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ডটি ছিল দুই কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার (১ জুলাই) হওয়ায় যানবাহনের চাপ ছিল অনেক বেশি।
এদিন জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ১২ হাজার ৫৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এই প্রান্ত থেকে আদায়কৃত টোলের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা। আর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হওয়া ১৩ হাজার ৮০১টি যানবাহন থেকে আদায় করা হয়েছে এক কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার হওয়ায় সেতুর উভয় প্রান্তে ছিল যানবাহনের উপচে পড়া ভিড়। দুপুরের পর থেকে জাজিরা প্রান্তে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টোল প্লাজার সামনে শত শত যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে দেখা গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সার্বক্ষণিক টোল আদায় সম্পন্ন করছে টোল আদায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের কাজটি যৌথভাবে করছে পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি ও কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেস করপেরেশন। তাদের পক্ষে মাঠ পর্যায়ে এ কাজটি করছে টেলিটেল কমিউনিকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর আদায়কৃত টোল জমা হচ্ছে সেতু বিভাগের ব্যাংক হিসাবে।