ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করবেন।
এদিকে এ মামলায় হাইকোর্টের জামিন বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন যুবলীগের সাবেক এই নেতা।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন চেম্বার আদালত।
সোমবার (২৩ মে) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাটের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৮ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের দায়ের করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্ট। এসময় সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়।
গত বুধবার (১৮ মে) জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আইন মেনে সম্রাটকে জামিন দেয়নি নিম্ন আদালত।
এর আগে, গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন।
গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের এবং অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেন।
পরদিন ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেই সময়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।