বগুড়া শহরের হরিগাড়ী এলাকায় কিশোরগ্যাং এর কবলে পড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন শ্রমজীবী একজন বিধবা নারী। ২৬ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগের পর সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মঙ্গলবার সদর থানার পরিদর্শক অপারেশন শাহীনুজ্জামান এই তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার শিকার ওই নারী বগুড়া শহরের হরিগাড়ী এলাকার একটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে আসামিরাও শ্রমিকের চাকরি করতো। গত ১১ মার্চ শুক্রবার রাতে মিলের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠানে পর ওই নারীর মোবাইল হারিয়ে যায়। এ সময় মোহন নামে এক শ্রমিক মোবাইলটি পেয়েছেন বলে তাকে জুটমিলের পাশে এ ডেকে নেন। সেখনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।
এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবরটি গোপনে জানতে পারে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। ঘটনার দুইদিন পর তারা অভিযান চালিয়ে আসামিদের বাড়ি থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে। সদর থানার পরিদর্শক অপারেশন ও মামলার বাদী শাহীনুজ্জামান বলেন, মামলায় মোট সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের মধ্যে মোহন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। বগুড়া সদর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম এর আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। আদালতের বিচারক বাকি চার আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।