আমাদের দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছেন যে আমি যদি থাকি, তাদের উন্নয়ন নিশ্চিত হবেই।
আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুবাই এক্সপো-২০২০ এর দুবাই প্রদর্শনী কেন্দ্রের সাউথ হলে নারীদের ভবিষ্যৎ পুর্ননির্ধারণ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সমর্থন ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছি, যা আমার মূল শক্তি। আমি অবশ্যই তাদের প্রশংসা করি। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বও নারীরা পালন করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? আমাদের পুরুষরা খুব দুর্বল? না তা নয়। তারা খুব কো-অপারেটিভ। আমি অবশ্যই বিষয়টির প্রশংসা করি।
তিনি বলেন, আমি যখন সরকার গঠন করি তখন দেখলাম কোথাও নারীর কোনো জায়গা ছিল না। তারা ছিল পুরোপুরি অবহেলিত। নারীদের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রায় ২১ বছর পর সামরিক শাসকরা দেশ পরিচালন করে। তখন নারীদের কোথাও কোনো অবস্থান ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশ এবং দেশের সমস্যাকে জানতাম। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। আমার বাবা আমার মেন্টর। শুধু তাই নয়, আমি তার কাছ থেকে শিখেছি দেশের মানুষকে কীভাবে ভালোবাসাতে গরিব মানুষ এবং দেশের জন্য কাজ করতে হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ, দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি, জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেম, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো- আইওয়েলা, কার্টটিয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাইলি ভিগনেরন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা, অটিজম ও স্নায়ু-বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রমুখ।