আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের এখতিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতির। এখানে আইন ও জ্যেষ্ঠতার কোনো বিষয় নেই।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ওকাব সংগঠক বিবিসি সংবাদদাতা সাংবাদিক কাদির কল্লোলের তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সদস্যসচিব ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, ওকাব সদস্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন ও বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমরা স্বচ্ছ গভর্নেন্সে বিশ্বাস করি। আইন করা উচিত। তবে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন সমীচীন হবে না।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাচ্ছেন। তাই নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের এখতিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া আছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এখানে আইন ও জ্যেষ্ঠতার কোনো বিষয় নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমার জানামতে এখনো কাউকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যদিও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে খবর বেরিয়েছে। তবে কাল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হতে পারে বলে তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। গত দুইবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। দলগুলো নামগুলো দিতে পারবে।
তিনি বলেন, ১০টি নাম সার্চ কমিটি সুপারিশ করতে পারবে, সেই দশটি নাম থেকে পাঁচজনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নিয়োগ দেবেন। এভাবে গঠিত কমিশনের অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। তবে আমিও মনে করি, আইন হওয়া উচিত। সেটি তড়িঘড়ি করে করা সমীচীন হবে না।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সংসদ বসলেও পরিস্থিতির কারণে সব সংসদ সদস্যকে সংসদে পাচ্ছিলাম না। সংসদকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আইন করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।