ভারতের মুরলিপুরের কোমল শর্মার সঙ্গে চলতি বছর ২ মে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পঙ্কজ শর্মার। বিয়ের আগে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা কিছুই জানতেন না তিনি।
কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই কোমল তার ও কলেজের সহপাঠী পিন্টু সিংয়ের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় গণমাধ্যম।
পঙ্কজ জানান, প্রথমে তিনি খুবই ভেঙে পড়েন। বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোমলকে তার মামাবাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। কিন্তু পরে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে, কোমলের ও পিন্টুর চার হাত এক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুজনের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চাননি তিনি।
তিনি জানতে পারেন, নবম শ্রেণি থেকেই তার স্ত্রীর সম্পর্ক। পরে সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ডিপ্লোমা করেছিলেন তারা। দুজনেই চাকরি পেয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পরিবারের চাপে জোর করে কোমলের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মামাবাড়ি থেকে ২১ অক্টোবর শ্বশুরবাড়িতে যান কোমল। তারপরেই ২২ অক্টোবর কল্যাণপুরে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পঙ্কজ কোমলের ভাইদের সঙ্গে গিয়ে বাররা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
তদন্তের সময় পুলিশ পিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এর পর কোমল ডিসিপি রাভিনা ত্যাগীর কাছে গিয়ে একটি আবেদন জানিয়ে বলেন, আমি বয় ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতে চাই। নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি উভয়পক্ষ থেকেই জীবন ও সম্পত্তিগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এর তদন্ত শুরু করেন সাব-ইনস্পেক্টর নিধি গুপ্তা। তিন পক্ষকেই ডাকেন তিনি। সকলের সামনে পিন্টু ও কোমল নিজেদের ইচ্ছা জানান। শেষমেশ কোমলের স্বামী ও ভাইয়েরা সম্মতি দেন। পঙ্কজের উপস্থিতিতেই কোমলকে বিয়ে করেন পিন্টু।