মুফতি ফোরকান আহমেদ কাসেমীঃ
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্বন্ধে আরও জানতে পারবে, যা তাদের মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিকে পরিণত করবে। শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে শেখ রাসেলের পবিত্র স্মৃতি আজীবন সবার মাঝে বেঁচে থাকবে, যা শিশু-কিশোরদের নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।