রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার সময় আবাসিক হল খুলে দেয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ভর্তি পরীক্ষা সময় হলে থাকার বিষয়ে কি ব্যবস্থা এমন প্রশ্নে ভিসি বলেন, ‘ওরাতো আবেগের জায়গা থেকে বলবেই, এখন আমাদের যেসকল শিক্ষার্থী পড়ছে তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আমাদের খারাপ লাগছে যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সময় হল খুলতে পারছি না যে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে অন্যবারের চেয়ে এবারের সিচুয়েশনটা আলাদা। দেশ এখনো অস্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। করোনা অতিমারীর কারনে আমাদের সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে বসে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমরা এসব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তাই আমরা দ্রুত সময়ের মাঝে হল খুলতে পারছি না।’
ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের থাকা নিয়ে মেস মালিকদের সাথে বসে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ভিসি বলেন, ‘গতকাল আমরা শহর এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন মেস মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছে।
তবে এটা লিখিত চুক্তি না। আগামী শুক্রবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই মেয়র মহোদয় একটা সভা আয়োজন করবেন। সেখানে নিরাপত্তা সংস্থার সব প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।’
হল না খোলার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ভিসি আরো বলেন, ‘আমরা ২৮ সেপ্টেম্বর আমরা বুঝতে পারব কত শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এখনো যে প্রস্তুতিগুলো আছে সম্পন্ন হয়নি। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কত শতাংশ শিক্ষক- শিক্ষার্থী কর্মকর্তা টিকা আওতায় এসেছ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের ২৯ হাজারের বেশী শিক্ষার্থী, তারমধ্যে মাত্র ১৫ হাজার শিক্ষার্থী তথ্য দিয়েছে। তবে ৩ হাজার এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। মাত্র ১২হাজার শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে এটা আশাব্যাঞ্জক নয়। আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যক ডিপার্টমেন্টের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভকে (সিআর) জানিয়ে দিয়েছে তথ্য হালনাগাদ করতে। তাছাড়া শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অলমোস্ট ৮০শতাংশ টিকা পেয়ে গেছে এবং ৭৫শতাংশ দুটো ডোজ টিকা পেয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা যেনও অন্তত একটি ডোজ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে।’
এদিকে, হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা ১১টায় সেন্ট্রাল লাইব্রেরি সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় তারা বলেন, হল বন্ধ থাকায় মেস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। তার উপর মালিকরা মেস ভাড়া আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকের সামর্থ না থাকলেও বাধ্য হয়ে মেসে থাকতে হচ্ছে। দুজনের রুমে ৪ জন মিলে গাদাগাদি করে থাকছেন। এছাড়াও সামনে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাই বা এমন সংকটে কিভাবে অবস্থান করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা।