কমলগঞ্জে ফেসবুকে পরিচয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তুলে চা বাগানে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ৪ দিন পর রোববার রাতে কমলগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন কলেজ ছাত্রীর পিতা। সোমবার দুপুরে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পুলিশ ধর্ষক যুবককে আটক করতে পারেনি।
জানা যায়, কমলগঞ্জের আব্দুর গফুর মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মধ্যভাগ গ্রামের হান্নান মিয়ার মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় দুবাই ফেরত যুবক ঘোষপুর গ্রামের মছকন মিয়ার ছেলে মছলম মিয়ার। পরবর্তীতে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ওই কলেজ ছাত্রী কলেজ থেকে তার সার্টিফিকেট নিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে কলেজে আসছিল। পথেমধ্যে রাণিবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র কথিত প্রেমিক কলেজ ছাত্রীকে বহনকারী আটোরিকশা আটকে কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপর অটোরিকশায় তোলে নিয়ে যায়। এ সময় কলেজ ছাত্রী হাল্লাচিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে শমসেরনগর চা বাগানে নিয়ে জোর পূর্বকধর্ষণ করে।
এতে কলেজ ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ওইদিন বিকালে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে কথিত প্রেমিক পালিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তিকালে বিষপান করার কথা উল্লেখ করে তার সাথে থাকা লোক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি হলে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরে রোববার রাতে এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন কলেজ ছাত্রীর পিতা হান্নান মিয়া। কমলগঞ্জ থানার মামলা নং ১২। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) ৭/৯ (১) ধারায় দায়েরকৃত মামলায় কথিত প্রেমিক মছলম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।