স্কুল, কলেজ, মাদরাসা খোলার ঘোষণায় নাটোরের গুরুদাসপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। করোনার মহামারির কারণে ও দারিদ্রতায় ৩০ শতাংশ শিশু শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার ২০টি কিন্ডারগার্টেন ও ১৬টি এবতেদায়ি মাদরাসার অবস্থা নাজুক। দারিদ্রতার কারণে অনেক মেয়েকে বাল্যবিয়েও দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ততপরতা চোখে পরার মতো। তারপরও কিছু স্কুল-কলেজে পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ময়লা আবর্জনা এবং অপরিচ্ছন্ন রয়েছে এখনও।
তবে ইউএনও মো.তমাল হোসেন বলেন, দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সুন্দর ও স্বাভাবিক করতে প্রতিদিন ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খ.ম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষালয়গুলোতে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সাবান পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আশপাশের ঝোঁপঝাড়ও পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো.আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানাযায়, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩টি মাদরাসা, ৩১টি হাইস্কুল, ৮টি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৫টি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ৫টি অনার্স কলেজ রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে প্রস্তত থাকলেও রুহাই পাটপাড়া কাছিকাটাসহ এখনও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্ষার পানি জমে থাকায় পরিবেশ কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে।