Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

গবেষণায় সাফল্যের প্রত্যয় চুয়েটের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানতম কাজ হচ্ছে গবেষণা করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সুষ্টির কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে কেবল গবেষণা করলে হবে না, সে গবেষণাকে বিশ্বমানের হতে হবে। গবেষণা কার্যক্রমের সফলতাকে ভিত্তি করে বিশ্বমানের র‌্যাংকিংয়ে যেতে হবে। ইতিমধ্যে চুয়েটের অনেক সফলতা এসেছে। আরো গবেষণা সাফল্য আনতে আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে নিরন্তর অবদান রেখে যেতে হবে।

আজ ০১ সেপ্টেম্বর (বুধবার), সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সীমিত পরিসরে ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চুয়েটের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, প্রভোস্টগণের পক্ষে শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুরকৌশল বিভাগের সাফকাত আর রুম্মান এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আবদুল বাছেত ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় চুয়েটের সম্মানিত শিক্ষকম-লী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ.টি.এম. শাহজাহান।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আত্মপ্রকাশ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই স্বায়ত্ত্বশাসিত ‘বিআইটি, চট্টগ্রাম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। চুয়েটে বর্তমানে ১৮টি বিভাগে ৮৯০ আসনের (উপজাতি কোটাসহ মোট ৯০১ আসন) বিপরীতে প্রায় ৬ হাজার জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। এছাড়া ৯০জন পিএইচডি ডিগ্রীধারীসহ প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক, ১৫০ জন কর্মকর্তা এবং ৪০০ জন কর্মচারী মিলে একটি পরিবার হিসেবে চুয়েটকে এগিয়ে নেওয়ার ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top