পিএসজিতে অভিষেক হয়ে গেছে লিওনেল মেসির। বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রথম ম্যাচে চিরচেনা ফর্মে ছিলেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ক্লাবটির কোচ মরিসিও পচেত্তিনোও মেনে নিচ্ছেন বিষয়টা। তবে তিনি আশাবাদী, আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির পরেই দেখা মিলবে তার দুর্ধর্ষ রূপের।
তবে মেসি চেনা ফর্মে না থাকলেও কোচ পচেত্তিনোর দল অবশ্য ভালোভাবেই জয়টা তুলে নিয়েছে। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই হারিয়েছে রেঁসকে।
এমনিই তারকাখচিত দল, তাই তাদের ওপর প্রত্যাশাটাও স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই। কোচ পচেত্তিনো বলেন, সেই প্রত্যাশাটা মেটাতে আরও সময় দরকার মেসির। চিন্তা করবেন না, তাদেরকে একসঙ্গে দেখতে আরও সময় প্রয়োজন। মৌসুম তো সবে শুরু।
তিনি বললেন, ‘লিও এখন সেরা ফর্মের কাছাকাছিও নেই, বরং তা থেকে অনেক দূরে। তবে সে ভালোভাবে অনুশীলন করছে এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি থেকে ফিরে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পুরো ফিট হয়ে যাবে বলে আশা করছি। তার কাছে আমাদের অনেক আশা।’
তবে চিরচেনা রূপ যেমন, গোল করা, করানো, কিংবা গড়ে দেওয়া; তার কোনোটিই করতে না পারলেও মেসির অভিষেকটা নেহায়েতই অগুরুত্বপূর্ণ নয় আর্জেন্টাইন এই কোচের কাছে।
মেসির পারফর্ম্যান্স সম্পর্কে তার মূল্যায়ন, ‘কোচ হিসেবে পরিস্থিতিগুলোকে বিশ্লেষণ করাটা আমাদের দায়িত্ব। লিওর ৩০ মিনিট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেক দিন ধরে সে অনুশীলনে নামেনি। তার ফর্মটাকে ফিরে পাওয়ার জন্য তাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে।’
পিএসজির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে মেসির সেরা ফর্মে থাকাটাও বেশ জরুরী। কোচ বলেন, তার সেরাটা দেখতে তো মুখিয়ে আছি আমরাও। তবে ওর অভিষেকটা হয়ে গেছে, আমার ভালোই লাগছে এজন্য। ওর জন্যও এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও ভালোই খেলেছে, বলে প্রথম ছোঁয়া থেকেই সে দলের মধ্যে একটা শান্তির ভাব নিয়ে এসেছে। সে খুশি ছিল, দলের সঙ্গে ভালোভাবেই মিশে গেছে সে।
তিনি আরও বলেন, ‘দলকে সাহায্য করাটা, ফ্রান্সের পরিবেশ, ভিন্নতর ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় অভিষেকটা ভালোই ছিল তার। জয় দিয়ে শুরু করাটাও ভালো হয়েছে ওর জন্য। শুধু আমাদের সমর্থকেরাই নয়, সব দর্শকই যে ওর জন্য গলা ফাটিয়েছে, এটাও খুব ভালো লেগেছে। লিও এটা অর্জন করে নিয়েছে।’
অভিষেকের পরই আবার মেসি ছুটবেন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি থেকে ফিরে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ক্লেগমোঁ ফুতের বিপক্ষে খেলবে তার দল পিএসজি।