মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইরাক। শনিবার (২৮ আগস্ট) আয়োজিত এই সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা সমবেত হয়েছেন।
ইরাকের শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ইরান ও সৌদি আরব এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এই দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আচরণের প্রভাব ইরাক, ইয়েমেন এবং লেবাননসহ অন্যান্য দেশে পড়েছে।
সৌদি আরব জানিয়েছে, তাদের দেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। এরই মধ্যে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
এ বিষয়ে বাগদাদে অবস্থিত ইরাকি পলিটিক্যাল থিংকিং সেন্টারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ইহসান আল শামারি বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ইরাকের ভূমিকা আগের মতো ফিরে আসবে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে একই টেবিলে বসানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে অংশ নিতে এরইমধ্যে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি, আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল ঘিয়েত, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইরাকে পৌঁছেছেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিও বাগদাদে পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি। কাতারের আমিরের এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক ইরাক সফর।
এছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। কারণ ইরাকের সঙ্গে এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে থাকছে ফ্রান্স।
এই বৈঠকটি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আল-কাদিমির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অঞ্চলিক সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজ দেশকে তুলে ধরা ও কয়েক দশকের সংঘর্ষের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পুনরায় সম্পৃক্ত হওয়ার ইরাকের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে ইরাকের শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল কেমন হবে এবং দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে কতটুকু চেষ্টা চালাবে তা সময়ই বলে দেবে।