সিনেমা-নাটকে ধুমপানের চিত্র ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ধুমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সিনেমা-নাটকের দৃশ্যে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ও প্রদর্শন বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ধুমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, মাদক বিরোধী সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ এবং পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (পিডিও)- এর করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ১৪(২) ধারা সংশোধন করতে গতবছর ১১ মার্চ সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এ নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এ রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জমান লিংকন সাংবাদিকদের বলেন, আইনে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অকার্যকর। সাকিব খান অভিনীত ‘শাহেনশাহ’ চলচ্চিত্রসহ অসংখ্য সিনেমা, নাটকে সিগারেটের ব্যবহার করা হলেও কোনো সতর্কবার্তা ব্যবহার করা হয়নি। বরং নানা রঙে-ঢঙে সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। এভাবে সিনেমা-নাটকে আইন লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে। একারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে সরকার। এ আইনের ৫(১)(ঙ) নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বা লভ্য ও প্রচারিত, বিদেশে প্রস্তুতকৃত কোন সিনেমা, নাটক বা প্রামাণ্য চিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, মঞ্চ অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে প্রচার, প্রদর্শন বা বর্ণনা করিবেন না বা করাইবেন না।’