চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা ১০ আগস্ট পার হওয়ার পর নতুন করে এই কঠোর বিধিনিষেধ থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হবে। এছাড়া খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট। সড়কে চলবে গণপরিবহণও।
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘১১ তারিখ থেকে যানবাহন চলবে। সেটা রোটেশন মাফিক। জেলা প্রশাসন স্থানীয়ভাবে এটির ব্যবস্থা করবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলমান থাকবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ১১ তারিখ থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনো লোক টিকা নেয়া ছাড়া রাস্তায় নামতে পারবে না। নামলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। আইন না মানলে সরকার অধ্যাদেশ জারি করে শাস্তি প্রয়োগের ক্ষমতাও দিতে পারে।’
টিকার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে এক কোটির বেশি লোককে টিকার আওতায় আনা হবে। টিকা নেয়ার জন্য দৌড়াতে হবে না, প্রত্যেক ওয়ার্ডে, গ্রামে গ্রামে নন্যুতম ২টি করে কেন্দ্র করা হচ্ছে। এক সপ্তাহে ১ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে সপ্তাহব্যাপী ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বয়স্ক মানুষকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
‘১১ তারিখ থেকে দোকান পাট খোলা হবে বলে আশা সরকারের। তবে টিকা ছাড়া কাউকে কাজে যোগ দিতে দেয়া হবে না। ১০ তারিখের মধ্যে সবাইকে টিকা নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন করতে হবে। সেজন্য গ্রামে গ্রামে মহল্লায় কমিটি গঠন করা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে আসতে দেয়া হবে না।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভাটি শুরু হয়। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা। তবে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলছে। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।