দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বাদ পড়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে প্রতারণাসহ পৃথক ৪ মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাজধানীর মিরপুর থানার প্রতারণা মামলা ও পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনের পৃথক মামলায় ৪ দিন করে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান।
এছাড়া গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। এতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো।
এর আগে আজ দুপুরে গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে হেলেনাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ শাহানুর রহমান।
৩১ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়ামিন কবির টেলিযোগাযোগ আইনে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। একই দিনে মিরপুর থানার প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২৯ জুলাই রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩০ জুলাই দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় র্যাব। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৩০ জুলাই রাত ১২টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেছিলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে।
ওইদিন সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।