আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারাবিশ্বে করোনা মহামারিতে প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছেন সাতজন মানুষ। একই সময়ে তার চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় না খেতে পেরে। বিশ্বে খাদ্যের অভাবে প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছেন ১১ জন মানুষ। শুক্রবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর বিশ্বে চরমে পৌঁছেছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। ২০১৯ সালে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থায় যে পরিমাণ মানুষের বসবাস ছিল, ২০২০ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে ৬ গুণ।
অক্সফাম বলছে, সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করেছে।
সারাবিশ্বে ১৫৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২০ মিলিয়ন বেশি। এ সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেশগুলোর সামরিক সংঘাতকে দায় করছে অক্সফাম।
ইয়েমেন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ভেনেজুয়েলায় ও সিরিয়ায় করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে থেকেই খাদ্যসংকট ছিল। করোনার মহামারি ও এর প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির ফলে আরও বেশি খাদ্য সংকটে পড়েছে দেশগুলো।
অক্সফামের তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চরম ক্ষুধায় রয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি মানুষ। এই সাড়ে ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতি তিনজনে দুজনের বসবাস সহিংস ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার কারণে মানুষের মাঝে বেকারত্ব বেড়েছে। খাদ্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধির হার এটি।
এদিকে সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি অভ্যন্তরীণ নথির তথ্য বলছে, ইথিওপিয়ার যুদ্ধপ্রবণ টাইগ্রে অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে রয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা ইউএনওসিএইচএ-এর প্রধান মার্ক লোকক বলেন, এ দুর্ভিক্ষ আরও প্রকোট আকার ধারণ করবে। সূত্র: আল জাজিরা