ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে শনিবার সকাল থেকে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
চতুর্থ দফায় রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহন চলছে। শনিবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে কেন্দ্রগুলিতে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার ৯টি আসন এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই ভোটগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি আসনের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে ৯টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনে ভোট হচ্ছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ৩৯টি। বিজেপির হাতে মাত্র ১টি এবং বামদের দখলে ৩টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল মাত্র একটি আসন।
অবশ্য ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে হিসাব অনেক বদলে গিয়েছিল। এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি এবং বিজেপি ১৯টি আসনে এগিয়ে যায়। তবে সে সময় পৃথকভাবে লড়াই করা বাম-কংগ্রেস কোনো আসনেই জয় লাভ করতে পারেনি।
চতুর্থ দফার ভোটে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন। রয়েছেন একঝাঁক তারকা প্রার্থীও। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তী এবং বৈশালী ডালমিয়ারও শনিবার পরীক্ষা।
ডোমজুড়ে প্রার্থী রাজীব। বালিতে বৈশালী এবং সাবেক মেয়র রথীন প্রার্থী শিবপুরে। এ ছাড়াও রয়েছেন, সিঙ্গুরে বিজেপির প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চুঁচুড়ায় বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, চন্দননগরে তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক এবং বিজেপির প্রবীর ঘোষাল।
বেহালা পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী। কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে লড়ছেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিজেপির প্রার্থী এমপি নিশীথ প্রামাণিক এবং কুমারগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী লিওস কুজুর।