পেঁয়াজ নিয়ে দেশে মাঝে মাঝেই লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যায়। দামের ঝাঁজে গ্যাড়াকলে পড়তে হয় ভোক্তাদের। এর প্রধান কারণ, আমদানি নির্ভরতা। তবে আশার খবর হচ্ছে, সংকট কাটাতে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চ্যানেল আইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আমদানি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎপাদন পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে চার বছরে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের লক্ষ্য চার বছরে পেঁয়াজ উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের। মন্ত্রী বলছেন, লক্ষ্য পূরণে অগ্রসর হওয়া গেছে অনেকটা। বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, জাত উন্নয়নের দিকেও এসেছে বেশ খানিকটা সফলতা।
এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কারণ, পেঁয়াজের ঝাঁঝে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে প্রতি বছর। কৃষক আর ভোক্তা দুপক্ষই ধাক্কা খান বাজারের কাছে গিয়ে। এক্ষেত্রে কৃষক বলছেন, আমদানি বাণিজ্য ও স্থানীয় বাজার খাতে দূরদর্শি উদ্যোগ না নেয়া হলে সংকট থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।
এর প্রমাণ আমরা এবার দেখেছি। গত মাসখানেকের বাজারদর লক্ষ্য করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এসময়ে পেঁয়াজের কোনো সংকট না থাকলেও দফায় দফায় দাম বেড়েছে। এটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজার মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মূল মৌসুমের বাইরেও গ্রীষ্মকালীন ও মুড়িকাটা পেয়াজ উৎপাদন নিয়েও যখন আশার কথা শোনাচ্ছে, তখন আমাদের আশাবাদী হতেই হবে। আমরা মনে করি, সরকারের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রশংসনীয় নীতি গ্রহণের পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাহলে কোনো পক্ষকেই পেঁয়াজের ঝাঁজ নিয়ে এত দিশেহারা হতে হবে না।