সামরিক জান্তা প্রতিশ্রুত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণমূলক করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এ বিষয়ে জানেন এমন তিনটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিক্ষোভকারীরা এবং পশ্চিমা দেশগুলো ক্ষমতাচ্যুত অং সান সুচির অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছে। একই সঙ্গে গত ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু আঞ্চলিক সবচেয়ে বড় এ দেশ ইন্দোনেশিয়া সেদিকে যায়নি। তাদের প্রস্তাবে এসব বিষয় নেই। পক্ষান্তরে তারা সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুত নির্বাচনের দিকে অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে জানেন এমন সিনিয়র দু’জন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, রক্তপাত বন্ধ করতে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান খুঁজতে হবে এবং সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা প্রতিশ্রুত একটি নতুন নির্বাচন দেয়।
ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিজয়ীর কাছে। কিন্তু সামরিক জান্তার নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিকে বিক্ষোভকারীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এমন প্রতিশ্রুতি গত বছর মেনে নেয়া হয়তো সম্ভব ছিল। কিন্তু নভেম্বরের ফল বাতিলের দাবি নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করার পরে সেনারা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তারা নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেনি। এ সঙ্কটে মধ্যস্থতা করতে এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, চীন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যরা। এ অবস্থায় ইন্দোনেশিয়া যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তাতে আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সামরিক জান্তা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিতে। এ তথ্য দিয়েছেন তৃতীয় একটি সূত্র। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, আসিয়ানভুক্ত অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে তিনি এ সম্পর্কে ঘোষণা দেবেন। মিয়ানমার সঙ্কট সমাধানের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বিশেষ সম্মেলনের জন্য আসিয়ানের সমর্থন পেতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে সফর করে যাচ্ছেন রেতনো মারসুদি। এতে বেশ কিছু দেশের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তিনটি সূত্র বলেছেন, কূটনৈতিক উদ্যোগ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে।