ভাসানচরে পৌঁছেছেন আরও প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নৌ বাহিনীর ছয়টি জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সকাল ৯ টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটি থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এই জাহাজগুলো।
দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে পৌঁছেছেন ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। তার আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬ শত ৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান। দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা সেখানে নামার পর নৌবাহিনীর সদস্য, পুলিশ, এপিবিএন সদস্য তাদের স্বাগত জানান। সেখানে শুরুতেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়ার আগে ওয়ার হাউজে রোহিঙ্গাদের ব্রিফিং করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা। শুরুতেই বিনোদনের মাধ্যমে সেখানে যাত্রা শুরু করে রোহিঙ্গারা।বিশ্রাম গ্রহণের পর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গারা এই ফুটবল খেলার আয়োজন করে। একইভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে তারা।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আগামী এক সপ্তাহ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় দফায় আসা রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করা হবে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে একটি ফুটবল মাঠ, দুটো ভলিবল মাঠ, সাংস্কৃতিকর্মকা- পরিচালনার জন্য রোহিঙ্গা শিল্পীদের পছন্দ অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্রও সরবরাহ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা ভাসানচরে ভালো আছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের এই চরে ১শ’২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে প্রায় ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ২ ধাপে ৩শ’৬ জন রোহিঙ্গাকে আগেই ভাসানচরে রাখা হয়েছিল। গত ৫ই সেপ্টেম্বর কক্সবাজার শরনার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসানচরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে একাংশ ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে গেলেন আরো ১৮০৪ রোহিঙ্গা
Share!