মোঃ রেজাউল করিম বাগমারা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত:২৬ নভেম্বর ২০২০ সময়: ৪.45 pm

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শোলাবিল ও পদ্মবিলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার শত শত কৃষক। জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকদের শত শত বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে না পেরে হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানা গেছে। ওই সমস্ত জমিতে ফসল ফলানোর জন্য শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম ও নরদাশ ইউনিয়নের পারিলা গ্রামের কৃষকরা পানি নিস্কাশনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শোলাবিল ও পদ্মবিলের পানি নিস্কাশন পথ বন্ধ করে শালমারা গ্রামের প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও খোরশেদ আলমসহ এলাকার কিছু ব্যাক্তি বিল দুইটির পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনকে মেনেজ করে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করেন।

পুকুর খননের কারনে বিল দুইটির প্রায় তিনশ একর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বিলের চারপাশের শত শত কৃষক ফসল ফলাতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। ভির দুইটিতে ফসল ফলাতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে কয়েকবার জলাবদ্ধতা দূর করার চেষ্টা চালিয়ে প্রভাবশালীর কাছে টিকতে পারেনি। প্রভাবশালীদের কাছে টিকতে না পেরে কৃষকরা অতি সত্বর ওই দুই বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পুকুর খননকারী প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি পানি নিস্কাশনের পক্ষে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
শুভডাঙ্গ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম এ বিষয়ে বলেন, এর আগে পানি নিস্কাশনের জন্য কৃষকদের পক্ষ হয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কোন সুরাহা না হওয়ায় কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ জানান, পানি নিস্কাশনের দাবীতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।