বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০; সময়: ৬,১৪ p
রাজশাহীর বাগমারায় হাসনীপুর এলাকার কিশোর গ্যাং এর সন্ধ্যান পেয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি পুলিশ। হাসনীপুর এলাকার এক মুদি ব্যবসায়ীর অভিযোগ তদন্তে গিয়েই পুলিশ এমন ধরনের তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশের একটি নির্ভযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তদন্ত শেষে অচিরেই কিশোর গ্যাঙ্গের ওই সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
বাগমারা থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসনীপুর এলাকার মৃত- নাদের আলীর নাতী নাইম হোসেন (২৫) তার নানা বাড়ি হাসনীপুর গ্রামে বসবাস শুরু করে। বসবাসের সুবাদে নাইম ইসলাম হাসনীপুর বাজারের অধিকাংশ লোকজনদের সাথে পরিচিত হয়। পরিচিতর সুযোগ বুঝে নাইম হোসেন মুদিদোকানী বাহাদুর রহমান ওরফে সাগরের দোকান থেকে বাকিতে ফল ক্রয় করে নিয়ে যায়।
ফলের টাকা চাইতে গেলে নাইম হোসেন উল্টো মুদিদোকানী সাগরের কাছে টাকা পাবে বলে দাবী করেন। বিষয়টি হাটকমিটির সভাপতির কানে গেলে তিনি নাইমকে স্বাক্ষী নিয়ে তার কাছে যেতে বলেন। নাইম বাজার কমিটির সভাপতির কথা কর্ণপাত না করে সাগরের দোকানে যায় এবং তার সাটের কলার ধরে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। ওই সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে নাইমকে সরিয়ে দিলে সে চলে যায়। লোকজন ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে নাইম আবারো সাগরের দোকানে যায় এবং তাকে মারপিট করার চেষ্টা করে।
নাইমকে থামাতে না পেরে সাগর নিজের নিরাপত্তার জন্য বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দু’পক্ষকে একই জায়গায় ডেকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের সামনেই নাইম সাগরের কাছ থেকে টাকা পাবে বলে জানায়। টাকার সত্যতা যাচাই-বাচাই করার জন্য পুলিশ নাইমের কাছে জানতে চাই। নাইম কোন ্উত্তর দেয় না। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বাহিরে থেকে নাইম হাসনীপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। সে এখানে গুটি কয়েক নেশাখোর ও মাদক বিক্রেতার সাথে তাল মিলিয়ে চলাফিরা করেন এবং একটি কিশোরগ্যাং তৈরীর চেষ্টা করছেন।
অবিলম্বে ওই সকল সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাংকের সদস্যরাই অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অল্পতে এদের থামাতে না পাারলে এলাকায় বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। পুলিশ বিষয়টি গভীর ভাবে তদন্ত করতে গিয়েই কিশোর গ্যাঙ্গের সদস্যদের সন্ধ্যান পেয়েছে। পুলিশ বিষয়টি কাউরে বুঝতে না দিয়ে তার উবর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবসস্থা নিবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, হাসনীপুর এলাকার ঘটনাটি তদন্তের জন্য থানার এক সহকারী পরিদর্শককে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। সে ঘটনাস্থল থেকে এসে বিষয়টি জানালেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।