ফুটবল বাঁচাতে নয় দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নামলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
সোমবার ‘প্রজন্ম : ফুটবল যাদের চেতনায় ও অস্তিত্বে’ ব্যানারে নয়টি দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন সাবেক ও বর্তমান তারকা ফুটবলার এবং সংগঠকরা। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত রাজপথে থাকার এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তরুণ প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমী সমর্থকদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক একসময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার কায়সার হামিদ।
‘সালাউদ্দিন হটাও, ফুটবল বাঁচাও’- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক’দিন ধরে এই লেখা আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে।
‘হ্যাশট্যাগ সালাউদ্দিন আউট’- এমন দাবিও তুলছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এবার রাজপথে নামলেন ফুটবলপ্রেমী তরুণ সমর্থকরা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং তার সহযোগীদের দুর্নীতিবাজ আখ্যা দেয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক।
তার কথায়, ‘যখন দেখলাম ফুটবল হারিয়ে যাচ্ছে এবং নিচের দিকে নামতে নামতে আইসিইউতে চলে যাওয়ার উপক্রম; তখন আমি ফুটবল একাডেমি গড়লাম।
কারণ, ফুটবল বাঁচাতে হবে। আমি নিজে একজন ফুটবলার ছিলাম। ফুটবলের প্রতি আমার আকর্ষণ রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।
ফুটবলে যে চুরি আর ভাগবাটোয়ারা হল আপনারা কি করলেন- এই বলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো আমাদের দোষারোপ করবে। তারা এও বলতে পারে, নিশ্চয় আপনারাও এর মধ্যে ছিলেন কিংবা আপনাদের মৌন সম্মতি ছিল।’
সিন্ডিকেট ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই আইনজীবী বলেন, ‘ক্যাসিনো হোতাদের যেভাবে রুখে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; একইভাবে ফুটবল যারা ধ্বংস করে চলেছেন, তাদেরও রুখে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধ জানাই।’
তার কণ্ঠে সুরমিলিয়ে সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, ‘গত ১২ বছরে ফুটবলে কোনো উন্নতি করতে পারেনি বাফুফের বর্তমান কমিটি। ফুটবলটাকে তলানিতে নিয়ে গেছে।’