বিসিক শিল্প নগরীসমূহে শিল্প কারখানা ছাড়া অন্য কোনো ধরনের স্থাপনা না রাখার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, শিল্প নগরীতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তারা কারখানা স্থাপন করতে ব্যর্থ হলে প্লট বরাদ্দ বাতিল করে সেটি অবশ্যই অন্য উদ্যোক্তাকে দিতে হবে।
রোববার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন শীর্ষক অনলাইন কর্মশালার উদ্বোধনকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বিসিকের পরিচালক ড. আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এনডিসি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে পরিবেশবান্ধব শিল্প খাতের বিকাশে বিসিককে আরো শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। শিল্পনগরীগুলোর খালি প্লটে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পর্যায়ে মোটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে বিসিককে আরো মনোযোগী হবার পরামর্শ দেন এবং নারী-তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্প নগরীগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি ও প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার তাগাদা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প নগরীতে স্থাপিত কারখানাগুলোর উদ্যোক্তারাসহ নতুন উদ্যোক্তারা যাতে কোনভাবে অযথা হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে বিসিকের শিল্পনগরীর কর্মকর্তাদের সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হবে। প্রতিটি শিল্পনগরী যাতে পরিবেশবান্ধব হয় সে বিষয়ে বিসিকের তদারকি আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান বলেন, সময়, ব্যয় ও পরিদর্শন কমিয়ে সহজেই উদ্যোক্তাদের কিভাবে সেবা পৌঁছে দেয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বিসিক জেলা, আঞ্চলিক ও প্রধান কার্যালয়ের ৮৪ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।বিসিকের পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) খলিলুর রহমান, পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষ ও উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।