পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগে কুমিল্লার বরুড়া ফেয়ার হসপিটাল বন্ধ ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচারের দাবীতে স্মারকলিপি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগে বরুড়ার উপজেলার পৌর এলাকার কাসেম শফিউল্লাহ কাজল এর মেয়ে নাফসি জাহান বরুড়া বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। পরে ফেয়ার হসপিটালের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ ইকবালের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুল ইসলাম এর নিকট স্মারকলিপি জমা দেন।
উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট নাফসির ভাই তানজিদ শফি অন্তর ফেয়ার হসপিটালের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও সার্জন ডাঃ মোঃ রাশেদ উজ জামান (রাজিব) এর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন ।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল বরুড়া মৌলভীবাজারে ফেয়ার হসপিটালে তানজিদ সফি অন্তর এর বোন নাফসি জাহান পেটের ব্যাথা ও বমির উদবেগ নিয়ে ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের কাছে চিকিৎসা নিতে নেন। এ সময় তিনি নাফসি জাহানকে কোনো প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই তার পেটে এ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলে ডাঃ রাশেদ উজ জামান রাজিবকে দিয়ে অপারেশন করান।
পরে নাফসি ২১, ২৬ এপ্রিল ও ৫ ও ১৪ জুন আবারও অপারেশনের স্থানে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে ডাঃ ইকবালের কাছে গেলে তাকে নিয়মিত ড্রেসিং করে এন্টিবায়োটিক ও ব্যাথার ঔষধ চালিয়ে যেতে বলেন।
পরবর্তীতে ২৪ জুন নাফসির পিরিয়ড এর সাথে অপারেশনের স্থানে প্রচন্ড ব্যাথা আরম্ভ হলে আবারও ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করে করান। পরবর্তীতে আবারও নাফসির পেটে ব্যাথা বেশি দেখা দেয়ায় ৭ জুলাই কুমিল্লা শহরের শেফা ডায়াগনস্টিক ও মেডিনোোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এতে দেখা যায় নাফসির তার পেটে অপারেশনের স্থানে নরম তুলতুলে কিছু একটা আছে।
এ ঘটনা নাফসির ভাই অন্তর বাদী হয়ে পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া নয়নতলা গ্রামের কাউসারকে একই হসপিটালে এপেন্ডিসাইটিসের নামে চারবার অপারেশন করান।
মানববন্ধনের পূর্বে তারা বরুড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিচারের দাবীতে মানববন্ধন, ফেয়ার হসপিটালে পেটে গজ রেখেই সেলাই
Share!