ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিভাষা হলো তাওবা। তাওবার বিনিময়ে মহান রাব্বুুল আলামিন তাঁর বান্দাদের পাপ মোচন করেন। এটি মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। এর মাধ্যমে কৃত গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তাওবার মাধ্যমে পাপমুক্ত হওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। নবী ও তাঁর সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদের সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৮)
রাসুল (সা.) বলেছেন, গুনাহ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৫০)
তাই আমাদের সবার উচিত, প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ আমলে আত্মনিয়োগ করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশের মানুষ তাওবা কাকে বলে, এ কথাই জানে না। অনেকের ধারণা এটি একটি রেওয়াজ মাত্র। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিকে কোনো একজন আলেমের মাধ্যমে তাওবা বাক্য পড়িয়ে দিলেই তাওবা হয়ে যায়। কেউ কেউ মুমূর্ষু রোগীদের কাছে আলেমদের নিয়ে বলেন, তার (রোগীর) কানে কানে তাওবা পড়ে ফুঁ দিয়ে দেন।
এ ধরনের ঘটনা সমাজে প্রতিনিয়তই ঘটে। এর কারণ হলো, তাওবা আসলে কী, তা কিভাবে করতে হয়ে, এ ব্যাপারে সঠিক ধারণা নেই। এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে এ বিষয় তুলে ধরা হলো