নাজমুস সাকেব নাঈম। বাংলাদেশের বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের তারকা বলা হয় তাকে। তিনি থাইল্যান্ডের সিয়াম ইউনিভার্সিটিতে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজের পাশাপাশি নেপালের একটি ব্যাংকে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। এই নাঈমের বিরুদ্ধে ডেবিট কার্ড হ্যাক করে প্রায় তিন কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছয় বছর আগে ঘটে যাওয়া এই জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি নাজমুস সাকেবকে তার সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার পুলিশ।
নাজমুস সাকেব নাঈম যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন। তার তৈরি করা পেখম ওয়েবসাইটটি অনলাইনে হোটেল বুকিংয়ের জন্য বিকাশ, সেবাসহ বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ফেসবুক-কমার্স বা এফ-কমার্সের জন্য গ্রহকসেবা সমাধান অর্থাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য কিনতে গ্রাহককে পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সাকেব উদ্ভাবিত চ্যাট বট ‘দ্য জেড বয়’ নিয়ে মার্কিন সাময়িকী অনট্রাপ্রেনার ও ফোর্বসএ তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সাকেব বেশ কটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে নানা পদে কাজ করেছেন।
পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি আবদুল ওয়াহেদের করা মামলায় কার্ড জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত ডিসেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮০ দিনে ওয়াহেদের আন্তর্জাতিক ভিসা কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। দেখা যায় যে হ্যাকার অনলাইনে আটটি দেশ থেকে ১ হাজার ৪৭২টি লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তেজগাঁওয়ের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজ আল ফারুক জানান, ভিসা কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, হংকং, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে দামি সফটওয়্যার, অ্যাপলের ম্যাকবুক, আইফোন, রোলেক্স ঘড়ি, ক্লাইভ খ্রিশ্চিয়ান ব্র্যান্ডের পারফিউম, ক্যামেরা, কসমেটিকস কেনেন সাকেব। জালিয়াতির কথা শিকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তথ্য প্রযুক্তির তারকা, হ্যাকিংয়ের দায়ে গ্রেপ্তার
Share!