করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বার-হোটেল বন্ধের মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বারই হোটেলভিত্তিক। বার বন্ধের প্রশ্ন তখন আসবে যখন হোটেল বন্ধ করে দেব, সব ক্লোজ করে দেব। এখনও আমাদের সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নে সরকারি অনুদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান।
স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়েছে, এখন দেশের বারগুলো বন্ধ করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজগুলো শিক্ষামন্ত্রী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বেশিরভাগ বারই হোটেল বেইজ। থ্রিস্টার, ফাইভস্টার হোটেল বন্ধ করব কিনা আপনাদের কাছেই এই প্রশ্ন রাখতে চাই। বার বন্ধের প্রশ্ন তখন আসবে যখন হোটেল বন্ধ করে দেব, সব ক্লোজ করে দেব। এখনও সেই সিচ্যুয়েশন আমাদের আসেনি।
করোনার কারণে পুলিশের ট্রেনিংগুলো স্থগিত করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে যেটা বন্ধ করা উচিত বলে মনে হচ্ছে সেটি বন্ধ করা হচ্ছে। ট্রেনিং বন্ধ হওয়ার মতো এত ইমার্জেন্সি আছে বলে মনে করিনি। এটা আবাসিক ট্রেনিং, আবাসস্থলেই থাকে। এখন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সব বাড়ি-ঘরে বসে থাকবে।
কুড়িগ্রামের ঘটনায় যে সাব ইন্সপেক্টর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে সেদিন রাতে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি মদ-গাঁজা সরবরাহ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন আইন সবার জন্য সমান। যদি সরকারি কর্মকর্তা বা সাধারণ নাগরিক সবার জন্য আইন সমান। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাছে তার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। আমরা যতটুকু জানি তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তদন্তে করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের শাস্তি আইন অনুযায়ী হবে।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকে বাইরে বের হচ্ছেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানেই আইন অমান্য হচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জে জনগণই স্বপ্রণোদিত হয়ে একজনকে ধরে নিয়ে ঘরে আবদ্ধ করেছে। সবাই সতর্ক হয়ে গেছে, যারা এ কাজটি করছে তারা নিজেরা এটি বিবেচনায় এনে সতর্ক হবেন বলে আশা করছি।