ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে ইসরায়েলের হামলায় স্বাধীনতাকামী ‘ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন ফিলিস্তিন’র অন্যতম শীর্ষ নেতা বাহা আবু আল-আত্তা ও তার স্ত্রী নিহত হন। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক জিহাদ’র যোদ্ধারা ইসরায়েলের বন্দরনগর আশদদসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক রকেট হামলা চালায়। এরই জবাবে বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গাজায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান।
এ হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য গাজা উপত্যকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্কুলগুলোও বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত গাজার চারপাশে ৮০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের মতে, গাজায় অন্তত ৩০ বার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
যদিও খবরে বলা হয়, কৃষিজমি, বসতবাড়ি লক্ষ্য করেও এ হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হয় তাদের রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে, নতুবা ইসরায়েলের বিমান হামলা হজম করতে হবে। তাদের সামনে বিকল্প এই একটাই।
এ হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছেন ফিলিস্তিনি সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম মেলহেম।