নিজস্ব প্রতিনিধি বাগমারাঃ পূর্বের শক্রতার জের ধরে রাজশাহী বাগমারায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা ঝাড়গ্রামের আছিয়া বেগমের ছেলে আকতার হোসেন (১৬) ও জামাই সোহাগ হোসেন (২৪) । খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হামলাকারীদের ব্যবহৃত ধারালো হাসুয়া বাঁশের লাঠি ও আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্হ্য কমপ্রেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় ইউপি সদস্যার স্বামী জাহাগীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত মঙ্গলবার (৯জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মদাখালী বাজারে ইউপি সদস্যার ছেলে আকতার হোসেন এর সাথে একই এলাকার আব্দুল মতিন, সাজেদুল ইসলাম, রহিদুল ইসলাম,খায়রুল ইসলাম, আব্দুল মুহিতের সাথে পৃর্বের শক্রতার জের নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আব্দুল মতিন ও তার লোকজন মিলে আকতার হোসেনকে মারধর শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেয়ে আকতার হোসেনের বোন জামাই তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি ও ধারলো অস্র ও হাসুয়া দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আকতার হোসেন ও সোহাগ হোসেন রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার ও হামলাকারীদের ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি ও ধারালো অস্র হাসুয়া উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় রাতেই আহত আকতার হোসেনের বাবা জাহাগীর আলম বাদী হয়ে ১০ জন আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগম জানান হামলাকারীরা এলাকার চিহ্রিত সশ্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা ও মদদানের অভিযোগে হামলা রয়েছে যা বর্তমানে বিচারধীন। তিনি ওই সকল সশ্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন সন্ধ্যায় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করছি। ওই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
বাগমারায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ২
Share!